মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) টেলিভিশনের এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
হারিরি বলেন, আমরা একটি অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছি। এই সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায় পরিবর্তন।
তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার লেবানিজ সরকার পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। তাই আমি পদত্যাগপত্র জমা দিতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যাচ্ছি।
এই ঘোষণায় গোটা দেশের বিক্ষোভকারীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন শহরে আনন্দ মিছিল করতে দেখা যায় তাদের।
তবে, বেশিরভাগ মানুষই মনে করছেন, দীর্ঘ যুদ্ধের প্রাথমিক বিজয় এটি।
২১ বছর বয়সী সিনেমানির্মাতা পিয়েরে মৌজান্নার বলেন, এটা খুব ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু, আমরা এখনই বিক্ষোভ থামাবো না। কারণ, হারিরি গোটা সমস্যার একটি অংশ মাত্র।
মঙ্গলবার রাজধানী বৈরুতে দুই শিয়া গ্রুপ বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্পে হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মারধর করে তারা। এসময় সরকারের পক্ষে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে তাদের।
এরপরই পরিস্থিতি আরও সহিংস রূপ নেয়। দাঙ্গা পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি।
১৪ দিন ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে দেশটিতে।
গত ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল লেবানন সরকার। এর পরপরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের জনতা।
প্রথমে করারোপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা এখন রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। এটি শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ব্যাংক ও স্কুলগুলো ১২ দিন বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এফএম