বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) করাচি-রাওয়ালপিন্ডি যাতায়াত করা তেজগাম এক্সপ্রেসে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনটি বগিতে আগুন ধরে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৭৩-এ দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যাত্রীর সঙ্গে থাকা কুকিং স্টোভ থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটে উল্লেখ করে দেশটির রেলমন্ত্রী শেখ রাশিদ বলেন, দু’টি কুকিং স্টোভে রান্নার সময় স্টোভের সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্টোভে থাকা তেলের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কারণে। ট্রেনের যে বগিতে এ ঘটনা ঘটে সেখানে তাবলীগ জামায়াতের একটি দল ছিল।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী শেখ রাশিদ। এক ভিডিও বার্তায় রেলমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং আহতদের জনপ্রতি পাঁচ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। এছাড়া হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও তিনি জানান।
কুকিং স্টোভ কিংবা সিলিন্ডার জাতীয় কিছু নিয়ে ট্রেনে ওঠার ব্যাপারটি নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন দেশটির রেল বিভাগের কর্মকর্তা নাবিলা আসলাম। তার দাবি, গ্যাস সিলিন্ডারটি কাপড়ের ভেতর লুকিয়ে রেখে ওই যাত্রী ট্রেনে উঠেছিলেন। কারণ এটি নিয়ে ট্রেনে ওঠা নিষিদ্ধ।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত এ ঘটনার তদন্তেদর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এর আগে গত জুলাইয়ে পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এসএ/