বছরের এ সময়টায় ঘরে ফসল তোলার পর মাঠে পড়ে থাকা খড় বা জঞ্জাল পুড়িয়ে ফেলেন কৃষকরা। এর ধোঁয়াই দিল্লির বায়ুদূষণের প্রধান কারণ বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সম্প্রতি দিল্লির কৃষকদের খড় পোড়ানোর জন্য ৪০ হাজার যন্ত্র সরবরাহ করেছে মোদী সরকার। তবে, রাজ্যের ২২ লাখ কৃষকের জন্য এই যন্ত্রগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া। তার ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর।
কেন্দ্র সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, দিল্লি সরকার জানতে চায়, আমরা ২২ লাখ কৃষকের জন্য কেন ৪০ হাজার যন্ত্র দিলাম। আমি বলতে চাই, আমরা এর জন্য ১১শ’ কোটি রুপি দিয়েছি, বিজ্ঞাপনের জন্য ১৫শ’ কোটি রুপি খরচ করিনি। দিল্লি সরকারের উচিত ছিল দূষণরোধে এই অর্থ কৃষকদের দেওয়া।
এছাড়া, দিল্লি সরকার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) দেওয়া নিদের্শনা মানছে না বলেও অভিযোগ করেছেন প্রকাশ জাভাদেকর।
দূষণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে পরিবেশমন্ত্রী জানান, তার মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খড় পোড়ানো ইস্যুতে বৈঠক করেছে। শিগগিরই আরও একটি বৈঠক হবে।
এসময়ের মধ্যে দিল্লির দূষণ নিয়ে আর রাজনীতি না করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রকাশ। পাশাপাশি, খড় পোড়ানো ঠেকাতে পাশের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান জানানোরও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। পরিবেশমন্ত্রীর দাবি, এর মাধ্যমে কেজরিওয়াল শিশুদের কাছে পাশের রাজ্যের নেতাদের খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করছেন।
দিল্লির বায়ুদূষণের খবর নতুন কিছু নয়। তবে, গত রোববার (৩ নভেম্বর) এর পরিমাণ তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫০ ইউনিট দূষণমাত্রাকে সহনীয় মনে করা হয়। রোববার দিল্লির বায়ুতে ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাপ নির্ণয় করা হয়েছে ৬২৫ ইউনিট। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে ভারতের রাজধানী অঞ্চল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন> দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি আরও নাজুক, বিলম্বিত ফ্লাইট
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
একে