রোববার (৩ নভেম্বর) নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ট্রাম্প জানান, ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় সরকার দাবানল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। প্রতি বছর দাবানলে অঙ্গরাজ্যটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এখন থেকে এই খাতে আর অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না জানিয়ে নিউসমকে নিজেদের কাজ নিজেরাই ভালোভাবে করতে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত ২৩ অক্টোবর দাবানল ছড়িয়ে পড়ে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। এরই মধ্যে আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ একর বনাঞ্চল। গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
এখনো কিছু এলাকা জ্বলছে দাবানলে। বনাঞ্চলের বেশিরভাগ গাছ পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। কয়েকটি এলাকা এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর। এসময় বনাঞ্চল অব্যবস্থাপনার জন্য নিউসমকে দায়ী করেন ট্রাম্প।
পাল্টা জবাবে নিউসম বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে দায়ী এর জলবায়ু আর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জলবায়ু চুক্তিতে এখনো তিনি সই করেননি। ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের প্রধান শত্রু শুষ্ক জলবায়ু। আর এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের বিকল্প নেই।
তহবিল কমিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিতে ট্রাম্পের সমালোচনাও করেন নিউসম। তিনি জানান, গত বছর দাবানলে ৮৬ জনের মৃত্যুর পরও এমন হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এটি যুক্তিসঙ্গত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
কেএসডি/