সোমবার (০৪ নভেম্বর) ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী ও দেশটির অবস্থা পর্যবেক্ষক সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি জানায়।
রোববার (০৩ নভেম্বর) রাতে বিক্ষোভকারীরা কারবালার ইরানি কনস্যুলেটের নিরাপত্তা দেয়াল টপকে এতে ইরাকি পতাকা ঝুলিয়ে দেয়।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে অবস্থার অবনতি হলে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
এদিকে, বিক্ষোভকারীরা জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী কোনো ফাঁকা গুলি ছুড়েনি। হত্যার জন্যই তারা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইরাকি অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক মুস্তাফা সাদুন জানান, কারবালায় রাতের এ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন।
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইরাকে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এ হামলার ঘটনা ঘটলো। ইরাকের রাজনীতিতে আমেরিকা ও ইরানের প্রভাব বিস্তারে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন, ইরাকের রাজনৈতিক অভিজাতরা নিজেদের জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে বাইরের শক্তির আনুগত্যে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন।
এদিকে, রোববার বিক্ষোভকারীরা রাজধানী বাগদাদসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে সরকারি-বেসরকারি সব কার্যালয় এবং স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে পড়ে।
রোববার ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি বিবৃতিতে বাজার, কারখানা, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সময় হয়েছে।
তিনি এও বলেন, বিক্ষোভের ফলে রাষ্ট্রের কোটি কোটি অর্থ অপচয় হয়েছে এবং সবাই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইরাকি প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন, তবে যদি রাজনৈতিক নেতারা বিকল্প সম্পর্কে একমত হতে পারেন।
অপরদিকে, ইরাকি হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শনিবার (০২ নভেম্বর) বিক্ষোভের অন্যতম মুখপাত্র ও চিকিৎসক সিবা আল-মাহদায়ীকে অজ্ঞাত একটি গ্রুপ অপহরণ করা হয়েছে।
সংস্থাটি সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তার সন্ধান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এবি/টিএ