মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় আন্তঃসংস্থা অগ্নিকেন্দ্র’র (এনআইএফসি) এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’ এসব তথ্য জানায়। গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) এনআইএফসির ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
খবরে বলা হয়, গত ২৩ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায়নি। যদিও দাবানল নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আবহাওয়ায় অতিরিক্ত শুষ্কতা, উচ্চ তাপমাত্রা ও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে দাবানল আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাছাড়া আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের আসন্ন শীতে বৃষ্টি হওয়ারও তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানায়, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার চলমান দাবানলের প্রথম চারদিনেই প্রায় ১০ হাজার একর জমি ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। বলা হচ্ছে এটি এ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র ‘নেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র অবসারপ্রাপ্ত আবহাওয়াবিদ বিল পাটজের্ট বলেন, গত ৭ মাসে তেমন বৃষ্টি হয়নি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায়। নভেম্বরেও বৃষ্টি হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাতাসের বেগ প্রবল। এটি অব্যাহত থাকলে আরও ভয়াবহ দাবানল সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এফএম/