বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রিয়াদে বাদশাহর প্রাসাদে এই বৈঠক হয় বলে জানায় মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদশাহ সালমান ও সিআইএ প্রধান হ্যাসপেলের বৈঠকে ওয়াশিংটন-রিয়াদের কূটনৈতিক সম্পর্কসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
তাদের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ছিলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ও গোয়েন্দা প্রধান খালিদ আল-হুমায়দানও ।
রাজপরিবারের সমালোচকদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ঢুকে তাদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত বুধবার (৬ নভেম্বর) দুই সৌদি নাগরিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদি আরবের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই ফৌজদারি মামলার বিষয়ে সৌদি সরকার এখনো কিছু বলছে না। তবে যেটা আমি মনে করি, আমাদের নাগরিকরা যে দেশে থাকছেন, তারা যেন সেখানে স্থানীয় আইন মেনে চলেন।
ওই তিনজনের মধ্যে টুইটারের সাবেক দুই কর্মীও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন কৌঁসুলিরা বলছেন, ওই তিনজন ‘সৌদি রাজপরিবারের এক নম্বর’ সদস্যের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন। এই ‘এক নম্বর’ সদস্য বলতে শেষ পর্যন্ত সৌদির কার্যত শাসক প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ইঙ্গিত করা হয়।
রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন উষ্ণ থাকলেও গত বছর ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর এই সম্পর্কে শীতলতা নামে। পরে সিআইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, সৌদি নাগরিক ও রাজপরিবারের সমালোচক খাশোগি হত্যায় খোদ মোহাম্মদ বিন সালমানের যোগসাজশ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এইচএ/