রোববার (১০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই ছাত্র ফেসবুকের এক পোস্টে আর্থিক সঙ্কটের কথা জানান। সেখানে তিনি নিজের দুরবস্থার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়াল ম্যাক্রোঁ, তার আগের দুই প্রেসিডেন্ট, কট্টর ডানপন্থি নেতা ম্যারিন ল্য প্যঁ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দায়ী করেন।
এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই ওই ছাত্র ফ্রান্সের লিয়ন শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্তোরাঁর সামনে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
দমকলকর্মীরা জানান, তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
লিয়ন-২ ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া এ ছাত্র ফেসবুক পোস্টে লেখেন, প্রতি মাসে ৪৫০ ইউরোতে জীবনযাপন করতে যে অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হতে হয়, সেটা সহ্য করার শক্তি আমার আর নেই। ক্রমাগত বাড়ন্ত ফ্যাসিবাদ, যা আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে, তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে সবাইকে। যে উদারপন্থা বৈষম্য তৈরি করে, লড়তে হবে তার বিরুদ্ধেও।
‘আমি ম্যাক্রোঁ, (ফ্রাঁসোয়া) ওঁলাদ ও (নিকোলাস) সারকোজি এবং ইইউকে দায়ী করছি আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দেওয়ার জন্য। আমাদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য দায়ী করছি ল্য প্যঁ ও গণমাধ্যম সম্পাদকদের। ’
ইউনিভার্সিটির ব্যস্ত রেস্তোরাঁটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য একটি রাজনৈতিক স্থান বাছাই করা।
এদিকে, ছাত্রটির প্রেমিকা তার পরিকল্পনা সম্পর্কে সতর্ক করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন।
এসইউডি-এডুকেশন ও সলিডেয়ারস স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এনিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে ছাত্রদের অনিশ্চিত জীবনের কথা তুলে ধরা হয়। তারা বলেন, ছাত্রটির এই কাজের কারণ শুধু হতাশা নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এফএম