এদিকে সবাই যেন নিরাপদ ও ভালো থাকেন, এক টুইটে সে বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া রাতজেগে রাজ্যবাসীর খোঁজখবর নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য-সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্র থেকে দুই রাজ্যে সহযোগিতা দেওয়া হবে জানিয়ে অপর এক টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, রাজ্যগুলোতে উদ্ধার তৎপরতায় জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন বাহিনীর ১৬টি টিম নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরো ১৮টি টিম।
ঘূর্ণিঝড়ে দুই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে ব্যহত হচ্ছে যোগাযোগ। তবে সড়ক থেকে গাছপালা সরিয়ে নিতে প্রশাসন কর্মতৎপরতা শুরু করেছে।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দিনগত রাত ৯টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে এবং উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানে ‘বুলবুল’। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার। এতে উপকূলের প্রায় চার লাখ লোকের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর ঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ঢুকে পড়ে। ঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এতে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
জেডএস