বুধবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয় ও পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বুধবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে এক বিবৃতিতে পুলিশ বলে, আইনের শাসন ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে হংকং। সেদিন হংকংয়ের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এই বিবৃতি দেয়।
চলতি বছরের জুনে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছে পুলিশ। কিন্তু গত কয়েকদিনে পুলিশ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ চলতে থাকলে নিরাপত্তার কারণে সেখানকার চীনা শিক্ষার্থীদের চীনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সব স্কুল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে শিক্ষা বিভাগ। তবে, এ সপ্তাহের শুরু থেকেই বেশিরভাগ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল।
ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভের কারণে বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়। উয়ুয়েন লং নগরে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া, চীনের ব্যাংক অব কমিউনিকেশন্সের হংকং শাখায় ভাঙচুর চালায় তারা।
বিরোধী দলের রাজনীতিকরা পুলিশের নিষ্ঠুরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে সংসদের আইন পরিষদের একটি অধিবেশন।
এই সপ্তাহে হংকং বিক্ষোভ চূড়ান্ত সহিংস রূপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সপ্তাহে কর্মদিবসগুলোতেও তীব্র বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হংকংয়ে বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী অ্যালেক্স চো মারা যাওয়ার পর সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে বিক্ষোভ আরও বেশি সহিংস হয়ে ওঠে। সোমবারে পুলিশ এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করলে তা চূড়ান্ত সহিংস রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে ব্যাপক সহিংসতা, অধিকাংশ স্কুল বন্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এফএম