বুধবার (১৩ নভেম্বর) উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সূত্রে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি আরব ও ইয়েমেন উভয়েরই প্রতিবেশি ওমানের মধ্যস্থতায় এ শান্তি আলোচনা চলছে বলে জানা যায়।
দু’মাস ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ শান্তি আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন হুথি মুখপাত্র গামাল আমের।
শান্তি আলোচনার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুলে দেওয়া ও ইয়েমেন-সৌদি সীমান্তে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয় অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।
ইয়েমেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবু বকর আল-করবি জানান, হুথি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বন্ধ এবং সীমান্তে সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই সৌদি আরব এ আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
এর আগেও উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। ২০১৬ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আসিরে অনুষ্ঠিত সৌদি-হুথিদের এক শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়।
গত সেপ্টেম্বরে সৌদি তেল পরিশোধনাগারে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল হুথি বিদ্রোহীরা। যুক্তরাষ্ট্র সেসময় এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও দেশটি তা অস্বীকার করে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট হাদির উপদেষ্টা আবদুল আজিজ জাবারি জানিয়েছেন, চলমান সৌদি-হুথি শান্তি আলোচনা সম্পর্কে তারা এখনো অন্ধকারে রয়েছেন।
তিনি জানান, আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজধানী সানাসহ হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো তাদের হাতেই ছেড়ে আসবে সৌদি আরব, যা দেশটিকে স্থায়ী বিভক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করার পর থেকেই দেশটি কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মানসুর হাদির পক্ষে সৌদি নেতৃত্বের সামরিক জোট ইয়েমেনে হামলা চালায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এবি