শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার সেন্ট্রাল বাগদাদে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসে আহত অন্তত ১৫০ জনকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তারা।
২৪ বছর বয়সী মাহমুদ বলেন, আমরা দাঙ্গা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সিনাক ব্রিজ দখল করতে চেয়েছিলাম। তখন পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও ফাঁকা গুলি করে।
২৭ বছর বয়সী ডাক্তার ইয়াসিন বলেন, ক্যানিস্টারের আঘাতে দুই জন নিহত ও ৫০ আহত ব্যক্তিকে পেয়েছি আমরা।
কর্মসংস্থানের সুযোগ, দুর্নীতির অবসান ও উন্নত সেবার দাবিতে ইরাকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণ থাকলেও এখন ব্যাপক সহিংস রূপ নিয়েছে। নিম্নবিত্তরা এ বিক্ষোভ শুরু করলেও গত কয়েক সপ্তাহে যোগ দিয়েছেন মধ্যবিত্তরাও। প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদির জন্য এটিকে বিরাট হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
২৩ বছর বয়সী সালিম বলেন, আমি বুঝতে পারছি না দাঙ্গা পুলিশ কেনো বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি করছে। গত কয়েক সপ্তাহে এতো মানুষের মৃত্যুর পরও কীভাবে তারা এটা ন্যায়সঙ্গত মনে করছে জানি না।
তবে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির পেছনে কেউ কেউ দায়ী করছেন সরকারকে। কেউ কেউ বলছেন দায়ী ইরান সমর্থিত শিয়া যোদ্ধারা।
২৬ বছর বয়সী হুসাইন পকেট থেকে ইরাকের সংবিধান বের করে বলেন, আমরা সরকারকে আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। শিয়া যোদ্ধারা অবৈধ। রাজনৈতিক দলগুলো মূলত শহুরে উচ্চবিত্তদের, যারা দেশটাকে লুটে খাচ্ছে।
শুক্রবার ইরাকের শীর্ষ শিয়া নেতা আয়াতোল্লাহ আলি আল-সিস্তানি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে বলেছেন, নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে যেন ভোটাররা এসব নেতাদের সরাতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫১, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এফএম