তবে দেশটির প্রথম আদিবাসী এ নেতা ক্ষমতা ছাড়লেও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেশটির সদ্য পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট মোরালেসের সমর্থকদের বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এসময় অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। এছাড়া আহতও হয়েছেন অনেকে।
হতাহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন বলে জানান দেশটির কেন্দ্রীয় শহর সাকাবার এক চিকিৎসক।
তবে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পদত্যাগ ঘোষণার পরদিনই (১১ নভেম্বর) মোরালেসকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কথা জানায় উত্তর আমেরিকান দেশ মেক্সিকো। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
শুক্রবারই বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোরালেস বলেছেন, অক্টোবরের নির্বাচন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো অর্থবহ অভিযোগ আনতে পারেনি।
অন্যদিকে চলমান সংকটকালেই ১২ নভেম্বর দেশটির বিরোধী দলের সিনেটর হিনাইন আনেস নিজেকে বলিভিয়ার ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও ওই দিন কংগ্রেসে কোরাম সংকটের কারণে তার এ ঘোষণায় প্রয়োজনীয় সমর্থন ছিল না। কেননা, এসময় মোরালেসের পার্টির সদস্যরা কংগ্রেসের অধিবেশন বর্জন করেছিলেন।
২০০৬ সাল থেকে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন মোরালেস। দেশটির আদিবাসী জনগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। মূলত বাম ধারার রাজনীতির ধারক মোরালেস দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। পাশাপাশি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের কারণেও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিলেন মোরালেস।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসএ/