মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দেশটির সেনাবাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার (১৮ নভেম্বর) গাও অঞ্চলে পার্শ্ববর্তী দেশ নাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে জঙ্গিবিরোধী এক অভিযান চালায় মালি সেনাবাহিনী।
এদিকে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ১৭ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১০০ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করে নাইজারের সীমান্তবর্তী টিলোয়া শহরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালি সেনাবাহিনী।
এর আগে ২ নভেম্বর মালির উত্তরাঞ্চলের মেনাকা রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় ৫৪ সেনা নিহত হয়েছিলেন। এক দশকের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম ভয়াবহ হামলা।
মালিতে প্রায়ই এ ধরনের জঙ্গি হামলা হয়। ২০১২ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের সমর্থনে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় জঙ্গিরা। মূলত এরপর থেকেই গোটা দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীকালে ফ্রান্সের সহায়তায় মালির সেনাবাহিনী জঙ্গিদের কাছ থেকে হারানো শহরগুলো উদ্ধার করে নেয়। তবে এরপরও জঙ্গিদের হামলার পরিমাণ কমেনি।
জঙ্গি হামলার পাশাপাশি দেশটিতে জাতিগত সহিংসতাও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের মতে, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মালি ও বুরকিনা ফাসোতে সহিংসতায় প্রায় দেড় হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
মালির চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
মালি, মৌরিতানিয়া, শাদ, নিগার, বুরকিনা ফাসো- এ পাঁচটি দেশ মিলে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিহামলা প্রতিরোধে জি-৫ গঠন করলেও দেশগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা ও সহিংসতা বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এবি/এসএ