বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, বুধবার (২০ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও ভিক্টোরিয়া রাজ্য দু’টিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।
এর আগে, ১০ নভেম্বর নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্য দু’টিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দাবানলের কারণে দু’টি রাজ্যে মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, পুড়ে গেছে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যপ্রাণীরা। সব মিলিয়ে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভয়াবহ দাবানলের ছোঁয়া লেগেছে অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি রাজ্যেই। দাবানল পৌঁছে গেছে রাজধানী সিডনি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে সিডনি ও অ্যাডেলেইড শহরের আকাশ। মাত্র তিনদিনের মধ্যে এনিয়ে দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনির আকাশ ছেয়ে গেছে ধোঁয়ায়। ফলে, বায়ুদূষণ তীব্রভাবে বেড়েছে। বাসিন্দাদের মুখে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার সার্ভিস থেকে সতর্ক করে বলা হয়, এমন ধোঁয়া চলতে পারে আরও বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত।
বুধবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হলে রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। সেখানে প্রায় ১০ হাজার ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, এই দাবানল খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হচ্ছে কি-না, সেটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, জলবায়ুর কারণে তাপমাত্রার বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে খরা প্রবণতা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এফএম