বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজ্যসভায় তিনি বলেন, গোটা দেশের সঙ্গে নতুন করে আসামের নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর সূত্র ধরে আবার আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাও তালিকা বাতিলের কথা বললেন।
সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আসামে হওয়া এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যান প্রায় ১৯ লাখ মানুষ। এতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বড় অস্বস্তিতে পড়েন শাসক দল বিজেপির নেতাকর্মীরাও। নাম বাদ পড়ায় দলটির শীর্ষ নেতাদের অবগত করেন তারা। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের চাপও সৃষ্টি হচ্ছিল বিষয়টি নিয়ে। এ পরিস্থিতিতে তা বাতিলের কথা বলে বিতর্কেও পড়লেন অমিত শাহ। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিরোধী দলের নেতারা।
অবশ্য সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এনআরসি মামলার মূল আবেদনকারী আসাম পাবলিক ওয়ার্কস। কেননা, তাদের দাবি ছিল সব তথ্য আবার যাচাই করা হোক। আসছে ২৬ নভেম্বর নিজেদের মামলার পরের শুনানি সামনে রেখে সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা বলেন, এক হাজার ৬০০ কোটি রুপি খরচের সম্পূর্ণ অডিটও করা হোক।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, আসাম চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে এই এনআরসি তৈরির ভিত্তিবর্ষ বলে ধরা হয়। কিন্তু ভবিষ্যতে দেশের অন্য সব রাজ্যে যখন এনআরসির কাজ শুরু হবে, তখন অতীতের আরেকটি দিনকে ধরে তার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করতে হবে। এতে করে এক দেশে দুটি ভিত্তিবর্ষ হয়ে যাচ্ছে। যা হতে পারে না। তাই গোটা দেশের যে ভিত্তিবর্ষ ধরা হবে, সে হিসেবে আবার আসামে নতুন তালিকা তৈরি করা হবে।
কোন বছরের কোন তারিখের ভিত্তিতে এই কাজ শুরু হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ আর ভিত্তিবর্ষ হচ্ছে না।
কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিজিৎ মজুমদারের মতে, নোট বাতিল, জিএসটির পরে এনআরসি বাতিল, বিজেপির তুঘলকি শাসনের আরও একটি নজির। এক হাজার ৬০০ কোটি রুপি খরচ হলো, লাখ লাখ মানুষ হয়রান হলেন, বহু আত্মঘাতী হলেন। এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এনআরসি বাতিল অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননা।
আরও পড়ুন>> আসামে চূড়ান্ত নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশ, বাদ ১৯ লাখ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
টিএ