সোমবার (২৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, সোমবার উইকিলিকসে প্রকাশিত ১৬ পৃষ্ঠার একটি খোলা চিঠিতে ৬০ জনেরও বেশি চিকিৎসক অ্যাসাঞ্জের স্বাস্থ্যের অবনতি বর্ণনা করে কারাগারেই তার মৃত্যুর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। চিকিৎসকরা তাকে একটি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। চিঠিটি ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২১ অক্টোবর আদালতে বেহাল অবস্থায় দেখা গেছে অ্যাসাঞ্জকে। তাছাড়া, ১ নভেম্বর জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি নিলস মেলজার একটি প্রতিবেদনে অ্যাসাঞ্জের শারীরিক ও মানসিক দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বেচ্ছাচার ও অত্যাচারের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে পারেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটেই চিঠিটি লেখা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কাঁধ ও দাঁতের সমস্যাসহ বিষণ্ণতা ও নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন অ্যাসাঞ্জ। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কারাগারেই মারা যেতে পারেন তিনি।
খোলা চিঠি লেখা চিকিৎসকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, শ্রীলঙ্কা, সুইডেনসহ নানা দেশের নাগরিক রয়েছেন।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর হওয়া এড়াতে, সেখানে তিনি ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। গ্রেফতার করার পর যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এফএম