বুধবার (২৭ নভেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর জানানো হয়।
দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরানি কনস্যুলেটে বিক্ষোভকারীদের এ হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
নাজাফে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার মধ্য দিয়ে ইরাকে দেশটির দ্বিতীয় কোনো কূটনীতিক কার্যালয়ে হামলা চালানো হলো। এর আগে ৩ নভেম্বর কারবালার ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
নাজাফের ইরানি কনস্যুলেটে বিক্ষোভকারীদের হামলার এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আব্বাস মুসাভি ইরানি কনস্যুলেটে হামলার যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানান।
হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করে মুসাভি বলেন, কূটনীতিক মিশন ও কূটনৈতিকদের রক্ষায় ইরাকি সরকারের দায়িত্ব রয়েছে।
এদিকে নাজাফে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাক ও ইরানের মধ্যে ঐতিহাসিক সর্ম্পককে নষ্ট করার জন্যই এ হামলা করা হয়েছে।
হামলার পর নাজাফের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে ইরাকের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
উন্নত জীবনব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের বিকাশ এবং দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে ইরাকে ১ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা একইসঙ্গে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানসহ বিদেশি দেশগুলোর প্রভাবের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।
দু’মাসের চলমান বিক্ষোভে ইরাকজুড়ে কমপক্ষে ৩৪৮ জন নিহত ও ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এবি/এইচএডি