বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইজেসি) রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার তৃতীয় ও শেষদিনের শুনানিতে গাম্বিয়ার যুক্তিখণ্ডন পর্বে এসব কথা বলেন দেশটির প্রধান আইনজীবী পল রাইখলার।
এর আগে গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানির দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানকালে আইন লঙ্ঘন করা সেনাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান।
এরই প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার গাম্বিয়া জানায়, মিয়ানমার মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানো নিজ সেনাদের বিচার করবে, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সে সবের ব্যাপারেও দেশটিকে বিশ্বাস করা যায় না বলে জানায় তারা।
২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাদাও’।
তাতামাদাওয়ের নামোল্লেখ করে ১৭ বিচারকের উদ্দেশ্যে গাম্বিয়ার আইনজীবী বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো তাতামাদাও নিজেই নিজের বিচার করবে? যখন কিনা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং থেকে শুরু করে ৬ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেই জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তাদের সবাইকে ফৌজাদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে।
এরপরপরই তিনি ২০১৮ সালের জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, সেখানে ২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ খুন ও গণধর্ষণ চলানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইজেসিকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ‘অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ’ দেওয়ার আহ্বান জানায় গাম্বিয়া।
বর্তমানে আদালত মুলতবি রাখা হয়েছে। আজই পরবর্তী অধিবেশনে আবারও মিয়ানমার শুনানিতে নিজেদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এইচজে