পাকিস্তানের হাফিজ সাঈদ, মাসুদ আজহার ও এহসানউল্লাহ এহসান ভারতের মুম্বাই ও সংসদ হামলায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পাকিস্তান সরকার।
সংসদের স্পিকারদের পঞ্চম বিশ্ব সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পর্যবেক্ষণ শেষে জবাবে ভারত জানায়, পাকিস্তানকে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে এবং এই এই ধরনের পদক্ষেপগুলো কঠোরভাবে দেখা দরকার।
লোকসভার স্পিকার ওম বিরলার এক টুইটে এই বিবৃতি দেওয়া হয়। যেখানে বিরলা সংসদের স্পিকারদের পঞ্চম বিশ্ব সম্মেলনে ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন।
বিবৃতিতে ভারত জানায়, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যার প্রধানমন্ত্রী ভয়ানক সন্ত্রাসী ‘ওসামা বিন লাদেনকে’ তাদের সংসদে একজন ‘শহীদ’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সন্ত্রাসী রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ। তাদের অন্তত ৬ হাজার মানুষ সন্ত্রাসবাদে সরাসরি যুক্ত রয়েছে।
‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ দেশটিকে একঘরে করে রাখা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে, ৪০ হাজারের কাছাকাছি মিলিশিয়ান তাদের দেশে রয়েছে। পাকিস্তানের আগ্রাসনে জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ (কারগিল), মুম্বাই ও সংসদ, উরি, পুলওয়ামাসহ অনেক জায়গায় হামলা হয়। এসব কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের হাফিজ সাঈদ, মাসুদ আজহার ও এহসানউল্লাহ এহসানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে পাকিস্তান তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল এবং থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২০
এমএমএস