প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোন গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা জনগণ এবং বিশ্বের চোখে তাদের বৈধতা নির্ধারণ করে। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের তালিকার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের সমস্যা রয়েছে।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে চেয়েছিলেন এবং বিদেশে নেওয়া সমস্ত লুট করা অর্থ ফেরত আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুই দশকের মধ্যে এটা সম্ভব হয়নি এবং ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা খুবই কম।
ডন-এর সাবেক সম্পাদক আব্বাস নাসির সম্প্রতি তার কলামে লিখেছেন, এনএবি এবং এর কাজের কারণে আমাদের [পাকিস্তান] অনেক ক্ষতি হয়েছে।
‘সম্পদ পুনরুদ্ধার চুক্তি’ নামে যে চুক্তি করা হয়েছিল, তা নাকি আইন মন্ত্রণালয় যাচাই করে দেখেনি। কারণ তৎকালীন এএনবি চেয়ারম্যান এবং জেনারেল মোশাররফ এই চুক্তিতে সন্তুষ্ট ছিলেন।
আব্বাস নাসির লিখেছেন, এটি ছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্রডশিট, যা লন্ডন কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন কর্তৃক ঘোষিত। পাকিস্তান উচ্চ আদালতে গিয়েও মামলাটি হেরে যায়। পাকিস্তান হাই কমিশনের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কেড়ে নেওয়া হয়, যার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
নাসির উল্লেখ করেছেন, এই চুক্তি বাতিল করার নানা কারণ থাকলেও, এটি এমন অযোগ্যতার সাথে পরিচালিত হয়েছে যে এটি দেশকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
পরিশেষে নাসির বলেছেন, জাতীয় সম্পদ কোষাগারে ফেরত আনার এই প্রক্রিয়া জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। কেন শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের বিব্রতকর বিপর্যয় এড়ানোর উপায়ও বের করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক