মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারাবন্দি অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে দেশটিতে চলমান আন্দোলন ক্রমেই জোরদার হচ্ছে।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই প্রথম প্রতিবাদ এসেছিল চিকিৎসাকর্মীদের কাছ থেকে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইয়াঙ্গুনের ড্যাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন কয়েকশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা সু চির পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়ে লাল পতাকা বহন করেন। ‘এ সামরিক অভ্যুত্থান চাই না’, ‘সু চি মা জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন তারা। ‘আমরা আমাদের প্রজন্মকে এ ধরনের সামরিক স্বৈরাচারের যাঁতাকলে ভুগতে দেব না’, বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায় এক বিক্ষোভকারী।
শিক্ষার্থীরাসহ সরকারি ও বেসরকারি বহু কর্মী এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। শুক্রবার সর্বশেষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সোমবার মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী এবং অং সান সু চি-সহ অন্য রাজনীতিক নেতা ও কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে। এরপর অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা একটি সুপ্রিম কাউন্সিলও গঠন করে।
এরপর বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগের সরঞ্জাম অবৈধভাবে আমদানির অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে মামলা করে দেশটির পুলিশ। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
ওএইচ/