গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড তুষারঝড়ে জার্মানিতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। জার্মানির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভয়ানক এই তুষারপাত ১৯৭৮ সালের তুষারঝড়কে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
উত্তর মেরু থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস সেই সাথে ভারী তুষারপাত এই তুষার ঝড়ের অন্যতম কারণ। জার্মান পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩শ’র বেশি দুর্ঘটনা তারা রেকর্ড করেছেন। এদিকে ভারী তুষারপাতের কারণে দেশটির বিমানসহ স্থলপথে অচল অবস্থা বিরাজ করছে। গাড়ি দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দূরপাল্লার স্থল ও আকাশপথ। ভেঙ্গে পড়েছে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জার্মান আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এই ঝড়ে ২০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার জমবে। সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হচ্ছে দেশটির পশ্চিম-উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ২৮টি স্থানে। বিশেষ করে বার্লিন, হামবুর্গ, ডর্টমুন্ড, এসেন, বিলেফেল্ড, লাইপজিগ, ব্রান্ডেনবুর্গে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে তাপমাত্রা কমে এসেছে মাইনাস ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায় সর্ব সাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ, দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার।
তুষারঝড় দেখতে বাড়ির বাইরে আসা স্থানীয় আরো একজন বলেন, গত দশকে এমন তুষার ঝড়ের দেখা আমরা পাইনি। খুবই বাতাস সেই সাথে তুষারপাত। সবার সাবধানে চলাফেরা করা উচিৎ। তাছাড়া গাছপালার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গাড়ি চালাতে সাবধানতা অবলম্বনের কোন বিকল্প নেই। এদিকে জার্মানিতে বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে কমিউনিটির পক্ষ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আবার হঠাৎ আসা তুষার ঝড়টি আনন্দের দারুণ উপলক্ষ হয়ে এসেছে শিশুদের জন্য। অনেক শিশুকেই বরফ নিয়ে খেলতে দেখা গেছে। এমন অবস্থায় করোনা ও সর্দি-কাশি বা ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করা উচিত বলছেন সাধারণ চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
এমকেআর