চীনের নতুন কোস্ট গার্ড আইন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান। বুধবার সামুদ্রিক বিষয় নিয়ে একটি ভার্চ্যুয়াল সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব কাতসুনোবু কাটো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন যেন এই আইন ব্যবহার না করে, যা সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এ আইন আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র কাটো বলেন, দুই দেশের উর্ধ্বতন আমলাদের মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় চীনকে তার কর্মকাণ্ডে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নতুন এই বিতর্কিত আইনে উপকূলরক্ষী বাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে চীন। গত ২২ জানুয়ারি আইনটি পাস করা হয়। এ নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে।
চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাপানের প্রতিরক্ষা প্রস্তুত করতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগা গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফোন করেন। তারা জাপান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তির ৫ নং অনুচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে রক্ষা করবে।
বেইজিং দাবি করে, পূর্ব চীন সাগরে জাপানের দখলে থাকা সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ তাদের। ওই এলাকায় চীন তার নতুন আইন দিয়ে জাপানি জাহাজগুলোকে টার্গেট করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো এই এলাকায় চীনের দাবি এবং কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক