জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গেছেন ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা। এ সময় ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে তাদের অবগত করেছেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা।
নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছাকাছি প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলে সন্ত্রাস কারখানা পরিচালনার পেছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর।
ব্রাজিল, মালয়েশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের আরও জানানো হয় কীভাবে পাকিস্তান ভারতে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে এবং সন্ত্রাসীদের ড্রোনসহ অন্য অস্ত্র সরবরাহ করছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর পৌঁছান বিদেশি প্রতিনিধিরা।
জম্মু ও কাশ্মীর— বিশেষ করে সাম্বা এলাকায় সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের ভারতে যেতে সাহায্য করা হয় এবং এ সময় তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতীক সম্বলিত অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলে এক প্রেজেন্টেশনে বিস্তারিত দেখানো হয়।
২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর গত বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিদেশি কূটনীতিকদের দু’টি দল জম্মু ও কাশ্মীর সফর করেছিল।
করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর এবারই প্রথম মতো জম্মু ও কাশ্মীরে সফরের সুযোগ পেয়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরা।
কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদ (ডিডিসি) এর নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং ১৮ মাস পর জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফের চালু করার পর কূটনীতিকদের সফরের বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবার অঞ্চল দু’টির পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এফএম