চীনা গবেষকদের দুটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, জিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষ করে শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে অপুষ্টি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উইগুরদের ক্রমাগত দমন এবং নির্যাতনের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ বছর বা তার কম বয়সী জিনজিয়াং-এর প্রায় ১৬ শতাংশ বাসিন্দা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে রক্তাল্পতার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি।
জিনজিয়াং মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ছয় বছর বয়স পর্যন্ত জিনজিয়াংয়ের এক চতুর্থাংশেরও বেশি শিশু রক্তাল্পতায় ভুগছে, যা জাতীয় হারের দ্বিগুণেরও বেশি। জানুয়ারিতে মডার্ন প্রিভেন্টিভ মেডিসিন নামক আরেকটি চীনা ভাষার জার্নালে জিকিয়া নাইজিমু এবং তার সহকর্মীরা এই ফলাফল প্রকাশ করেন।
গবেষকরা বলছেন, রক্তাল্পতা আয়রন এবং ভিটামিনের অভাব থেকে হয়।
২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ে মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের অভিযান বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সঞ্চার করেছে, বিশেষ করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, যা এটিকে 'গণহত্যা' হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এছাড়া কানাডার পার্লামেন্টও এটাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনের অভিযানের অধীনে ১০ লক্ষেরও বেশি উইগুরকে পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটক করা হয়েছে, যেখানে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
চীন এই ধরনের শিবিরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে। কিন্তু ২০১৯ সালে বৈশ্বিক চাপের মুখে অবশেষে তারা স্বীকার করে যে জিনজিয়াং-এর "বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সরকার জিনজিয়াং-এ চীনের নীতির নিন্দা জানিয়েছে। ব্রিটেন জানুয়ারিতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে জাতিসংঘের অধিকার পরিদর্শকদের এই অঞ্চলে ভ্রমণের অনুমতি চায়। ইউরোপীয় সংসদ ডিসেম্বরে জিনজিয়াং-এ জোর পূর্বক শ্রমের জন্য চীনের নিন্দা জানিয়েছে। সূত্র: আল আরাবিয়া পোস্ট
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
নিউজ ডেস্ক