মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী সমর্থকরা ইয়াঙ্গুনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারে রক্তক্ষরণ বন্ধের উদ্দেশ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপ থামিয়ে দেয় চীন।
গণতন্ত্রপন্থী কয়েক হাজার সমর্থক, অ্যাক্টিভিস্ট এবং সেলিব্রিটি এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তারা স্লোগান দিয়েছেন- মিয়ানমার ছেড়ে চলে যাও চীন। চীনা দূতাবাস সরিয়ে নাও। চীনা দূতাবাসের দরকার নেই, এখনই মিয়ানমার ছেড়ে চলে যাও।
গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য মিয়ানমারে অভ্যুত্থানকারী সেনা সরকার অন্তত ৫৫০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।
মিয়ানমারের বহু মানুষের প্রত্যাশা ছিল, সেনা সরকারের ওপর জাতিসংঘের চাপ এলে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা বন্ধ হতে পারে। কিন্তু চীনের হস্তক্ষেপে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সেই পদক্ষেপ নিতে পারেনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এমনকি চীনের কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি থেকে কড়া ভাষাও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়েও কড়া ভাষা পাল্টে ফেলতে বাধ্য হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
যদিও মিয়ানমারে চীন বিরোধী মনোভাব নতুন কিছু নয়। বর্তমানে চীন বিরোধিতা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণ করলে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকে বিরোধিতা করা হলেও মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের পক্ষে কথা বলেনি চীন। সে কারণে মিয়ানমারের বহু মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস, সে দেশের সেনা সরকারকে সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করছে চীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিয়ানমারের এক ব্যক্তি লিখেছেন, চীন আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে। আপনারা (চীন) আবারো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে থামিয়ে দিলেন। মিয়ানমারে চীনা দূতাবাসের দরকার নেই।
মিয়ানমারের অভিনেত্রী খিন উইন ওয়াহ বলেছেন, সবার উচিত চীনা পণ্য বয়কট করা। চীনের তৈরি সব ধরনের পণ্য বয়কট করার এটাই সময়। সূত্র: ইরাওয়াদি