পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জিনজিয়াং প্রদেশে চীনা সরকারের নীতি সম্পর্কে তার দেশের সমর্থনের পুনরাবৃত্তি করেছেন, পাশাপাশি নির্বাচনী গণতন্ত্রের তুলনায় সমাজের জন্য আরও ভাল মডেল প্রদান হিসাবে দেশটির একদলীয় ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন।
সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শততম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ইসলামাবাদ সফররত চীনা সংবাদ মাধ্যমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো চীনের বিরুদ্ধে জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। বলা হচ্ছে চীন সেখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাধীনতা, মূলবোধ হরণ করছে। নানা ধরনের নির্যাতন চালিয়ে জাতি হিসেবে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে।
পাস্তিানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিয়মিত ইসলাম ভীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালেও চীনের ব্যাপারে তিনি উল্টো কৌশল গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব দৃঢ়। যেহেতু বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে আমাদের সম্পর্ক, তাই জিনজিয়াংয়ে কর্মসূচি সম্পর্কে তারা যা বলে, আমরা তা গ্রহণ করি।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশটিতে ৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী চীনের সাথে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে।
ইমরান খান চীনের একদলীয় শাসন ব্যবস্থারও প্রশংসা করে বলেন, সিপিসি একটি অনন্য মডেল। তারা আসলে সমস্ত পশ্চিমা গণতন্ত্রকে পরাজিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক