তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হায়াবাতুল্লাহ্ আখুনজাদা আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে জনসমক্ষে বিরল এক ভাষণ দিয়েছেন।
পাঁচ বছর আগে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাকে কখনই জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের অগাস্টে তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করার পরও তিনি নজরের আড়ালেই থেকে যান। এর ফলে তালেবান সরকারে তার কী ভূমিকা হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়। এমনকি তিনি বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়েও গুজব রটে।
কান্দাহারের দারুল উলুম হিকমাহ্ মাদরাসায় শনিবার (৩০ অক্টোবর) আখুনজাদা যে ভাষণ দিয়েছেন, তার কোনো ছবি বা ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ১০ মিনিটের ভাষণের একটি অডিও তালেবানের সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যারা ২০ বছর ধরে লড়াই করেছে, ওই ভাষণে তিনি তাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
তালেবানের কাছে বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে পরিচিত হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদা। ইসলামি আইনের পণ্ডিত তিনি। তালেবানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব রাখেন এই নেতা।
২০১৬ সালে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন তার পূর্বসূরি আখতার মনসুর। এরপরই দায়িত্ব নেন আখুনজাদা।
এর আগে ১৫ বছর ধরে দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের কুচলাকের একটি মসজিদে শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। তার বয়স প্রায় ৬০ বছর।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আখতার মনসুরের হত্যার পর তালেবানের মধ্যে যে তিক্ত উপদলীয় কোন্দল শুরু হয়, তখন সবার মধ্যে আপোষ মীমাংসার দায়িত্ব দেওয়া হয় আখুনজাদাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
জেএইচটি