আফগান বংশোদ্ভূত জার্মান শিল্পী দুই দেশের সংস্কৃতির সমন্বয়ে এমন কিছু তৈলচিত্র এঁকে চলেছেন, যা মানুষের মনে প্রশ্ন জাগায়। শিল্পের বিষয় সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করতে উসকে দেয় দর্শকদের।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্লিনের চিত্রশিল্পী মনজুর কারগারের চিত্রকর্মে রঙের বাহার, অলঙ্করণ ও খোলামেলা ভাব চোখে পড়ার মতো। ৫৬ বছর বয়সী এই শিল্পী আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশবেই জার্মানিতে যান। তার শিল্পকর্মের ওপর দুই দেশের সংস্কৃতির ছাপ স্পষ্ট।
মনজুর বলেন, ‘আমি কে, কোথা থেকে এসেছি? আমার কাছে সেটা পুরোপুরি স্পষ্ট ছিল না। কোনো এক সময়ে আমি পুরাকীর্তি নিজের মতো করে আবিষ্কার করেছি। প্রাচীনকালের মতো আজকের বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন ও হলিউডেও মানুষের সৌন্দর্য্য, তার আদর্শ রূপ তুলে ধরা হয়। ’
‘গান্স এন রোজেস’ নামের মার্কিন রক গোষ্ঠীর গায়ক আক্সেল রোজ ২০ হাজার ইউরো মূল্যে ‘পিল্স ২’ নামের ছবিটি কিনেছেন। শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারের একটা অংশ ছাড়া বিখ্যাত ক্রেতারাও রয়েছেন।
বার্লিনে নিজের স্টুডিওতে তার বিশাল আকারের তৈলচিত্র সৃষ্টি হয়। নিজের শৈলি সম্পর্কে মনজুর বলেন, ‘আমার মধ্যে উসকে দেওয়ার প্রবণতা কিছুটা কাজ করে। মনোযোগ আকর্ষণের কিছুটা তাগিদও অবশ্যই থাকে। এর অর্থ কী? এখানে কার্তুজ কেন রয়েছে? দর্শক সজাগ হয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। এভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়, প্রলোভন দেখানো যায়। সত্যি আমি প্রলোভন পছন্দ করি। ’
মনজুর কারগার বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, কত মানুষ আমাকে ভালোবাসতো। বড় বাগান ছিল। আচমকা বার্লিনে চলে এলাম। ছোট ফ্ল্যাট, কম জায়গা, অন্ধকার, ভিজে পরিবেশ, বৃষ্টি, শীত। সত্যি বড় পার্থক্য ছিল। ’
এখন মনজুর ছোট ফরম্যাটে সাদা-কালো ছবির এক সিরিজ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, ‘বড় ছবির নান্দনিকতা ও বিষয়বস্তু সাদা-কালো রঙের কাগজের ওপর ফুটিয়ে তোলা আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। স্কেচ করার মধ্যে একটা মুক্তির ব্যাপার রয়েছে, তৈলচিত্রের ক্ষেত্রে পুরোটা আঁকতে ও রং করতে হয়। আমাকে বিপরীতমুখী ভাবনা ও কাজ করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০২১
জেএইচটি
Art by artist Manzur Kargar - Oil on canvas pic.twitter.com/66dbd4psbW
— peony (@_ui1422) June 19, 2017