স্ত্রী-সন্তানকে ফেরত চেয়ে শ্বশুরবাড়িতে অনশন করেছেন হরিদাস মণ্ডল নামের এক তরুণ। এ সময় তিনি পিঠে একটি পোস্টার লাগিয়ে রাখেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী-মেয়েকে ফেরত চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির মালবাজারে শ্বশুরবাড়ির সামনে অনশন করেন হরিদাস মণ্ডল। পেশায় রাজমিস্ত্রী এই তরুণ এ সময় পিঠে একটি পোস্টার লিখে রাখেন। এতে লেখা ছিল, ‘আমার বউ আমার ফেরত চাই। ’
হরিদাসের দাবি, চার বছর আগে কাঠামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না মণ্ডলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র মেয়ের বয়স দেড় বছর। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে তাদের সংসারে অশান্তি চলছে।
হরিদাস মণ্ডল বলেন, শ্বশুরবাড়ির ইন্ধনেই তার ও জ্যোৎস্নার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এরপরই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান তার স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির চাপেই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন না স্ত্রী। বারবার স্ত্রী-সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে এলেও তাকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি অনশনে বসেন। হরিদাস বলেন, ‘এজন্য মরতেও রাজি আমি। ’
স্বামীর অভিযোগ অস্বীকার করে জ্যোৎস্না মণ্ডল বলেন, আমি কোনো মতেই আর হরিদাসের সঙ্গে সংসার করতে চাই না। আমার ওপর শারীরিক অত্যাচার করে স্বামী। সেই কারণেই আমি বাবার বাড়িতে চলে এসেছি। এতে আমার বাবা-মার কোনো দোষ নেই।
জ্যোৎস্না মণ্ডল আরও বলেন, কিছুদিন আমার বাবার বাড়িতে এসেও থেকেছিল হরিদাস। এখানেও মদ পান করে এসে আমাকে মারধর করে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই না। এভাবে অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না। ছোট মেয়েকে নিয়ে আমি বাবার বাড়িতেই থাকব। তবে আমার ও মেয়ের খরচ দিতে হবে স্বামীকে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মধ্যরাত পর্যন্ত অনশন করেন হরিদাস। এরপর পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আশ্বাসে গভীর রাতে অনশন ভাঙেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
জেএইচটি