সুইডেনের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেছেন ম্যাগদালিনা অ্যান্ডারসন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সংসদে 'বাজেট ডিফিট' এবং দুই দলীয় সংখ্যালঘু সরকারে জোট শরিককে হারানোর পর তিনি পদত্যাগ করেন।
বৃটিশ পত্রিকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়- এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাগদালিনা অ্যান্ডারসন বলেন, "আমার জন্য এটা সম্মানের, তবে আমি এমন কোনো সরকারকে নেতৃত্ব দিতে চাই না যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো কারণ থাকতে পারে"।
এর আগে সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ম্যাগদালেনা অ্যান্ডারসনকে অনুমোদন দেয় দেশটির পার্লামেন্ট। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সুইডেনই একমাত্র নর্ডিক দেশ যেখানে এর আগে কোনো নারীকে জাতীয় সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়নি।
মিসেস অ্যান্ডারসন বর্তমানে দেশটির অর্থমন্ত্রী হলেও বুধবারের ভোটে তিনি জিততে পারেননি। তারপরও তিনি নির্বাচিত হন, কারণ সুইডিশ আইন অনুযায়ী নির্বাচিত হতে তার শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির প্রয়োজন ছিল।
প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুইডেনের ৩৪৯ আসনের সংসদে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দেন ১১৭ জন, ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫৭ জন, বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এবং একজন অনুপস্থিত ছিলেন।
সুইডেনের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থনের দরকার হয় না। তবে তার বিপক্ষে ১৭৫ জনের কম ভোট থাকতে হয়।
সুইডিশ নারীরা ভোটাধিকার পাওয়ার একশ বছর পর, ৫৪ বছর বয়সী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতার বিজয়ে পার্লামেন্টের একাংশ স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
আরএ