একটি হাই প্রোফাইল মানবপাচার মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২৭ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে কুয়েতের বহুল আলোচিত অর্থ ও ঘুষের মামলায় তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাপুল ছাড়াও আদালত একই মামলায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ, জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খিদরকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া কুয়েতের এসব সরকারি কর্মকর্তাকে নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুয়েতের সাবেক এমপি সালাহ খুরশিদকেও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং প্রায় সাড়ে সাত লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে। কুয়েতের স্থানীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে গালফ নিউজ রোববার (২৮ নভেম্বর) এই সংবাদ দিয়েছে।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি কুয়েতের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ খুরশেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৭ লাখ ৪০ হাজার কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে। মামলার এটাই চূড়ান্ত রায়।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের অপরাধ আদালত পাপলুকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করে। সে সময় গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা মানবপাচার, অবৈধ মুদ্রাপাচার এবং স্বদেশী কর্মীদের কাছে রেসিডেন্ট পারমিট বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন।
পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুয়েতি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে কয়েক ডজন শ্রমিক পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। পাঁচ বাংলাদেশি তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলার পর পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাংলাদেশিরা জানান, পাপুল তাদের কুয়েতে পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে সোয়া ৮ লাখ টাকারও বেশি অর্থ নিয়েছেন। এছাড়া রেসিডেন্সি ভিসা নবায়নের জন্য প্রতি বছর পাপুলকে নতুন করে অর্থ দিতে হতো তাদের।
পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি কুয়েতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন, যাতে তিনি সেখানে যে সংস্থাটি চালাচ্ছিলেন তার চুক্তি পেতে পারেন।
জানা গেছে উপসাগরীয় এই দেশটিতে পাপুলের ৫০ লাখ কুয়েতি দিনারের সমপরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।
বাংলাদেশে সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এমএমজেড