চিনে ফের বাড়ছে করোনা। দেশটির অন্তত ১৮ প্রদেশে ইতিমধ্যেই ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের শক্তিশালী সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে।
এ খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
জানা গেছে, সে দেশে ইতোমধ্যেই ৯ হাজারের বেশি সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। অথচ গোটা ২০২১ সালে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৮,৩৭৮। গত দু’বছরে চিনে করোনা পরিস্থিতির এমন অবনতি আর হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (১৪ মার্চ) উত্তর-পূর্ব চিনের জিনিন প্রদেশকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেখানকার ২ কোটি ৪০ লাখ বাসিন্দাকে ঘরে শুয়ে বসে দিন কাটাতে হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনফিং সরকার। এদিকে দক্ষিণ চিনের শেনঝেন শহরের ১ কোটি ৭৫ লাখ বাসিন্দাকেও ঘরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজির প্রায় সাত লাখ বাসিন্দাকে রোববার (১৩ মার্চ) থেকেই ঘরবন্দি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চিনের কোনো প্রদেশ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা হল। ২০১৯ এর শেষ দিকে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার পরে প্রথম পুরো প্রদেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো প্রদেশটিকে বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
জেডএ