ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো সাংবিধানিক পরিবর্তন তার একার নয়, একটি গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (২১ মার্চ) ইউক্রেনের পাবলিক ব্রডকাস্টার সাসপিলনে নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যা সংসদ ও ইউক্রেনের জনগণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে’।
যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা যখন একটি ধারাবাহিক শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তখনেই জেলেনস্কি গণভোটের কথা বললেন। জেলেনস্কি বলেন, তিনি রুশ আলোচকদের সঙ্গে দেখা করেননি। তবে প্রতিনিধিদের বলেছেন যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আপস করতে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের আলোচকদের বুঝিয়েছি যে, যখন কেউ পরিবর্তনের কথা বলছে, এই পরিবর্তনগুলো ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের একটি গণভোট করতে হবে’।
জেলেনস্কি বলেন, ‘জনগণকে কথা বলতে হবে এবং সমঝোতায় সাড়া দিতে হবে। আপস কী হবে, সেটাই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আমাদের আলোচনা ও বোঝাপড়ার বিষয়’।
ইউক্রেনের সমঝোতার সীমা সম্পর্কে সাসপিলনের একজন প্রতিবেদক জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, এই বৈঠক ছাড়া আপনি সত্যিই বুঝতে পারবেন না যে, তারা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সত্যিই কী করতে প্রস্তুত। আমরা যদি আপস না করি তাহলে তারা কী করতে পারে’।
আগের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে জেলেনস্কি বলেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দখলকৃত অঞ্চলের বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি নিশ্চিত যে, এই বৈঠকে কোনো সমাধান আসবে না’।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ সেনারা সামরিক অভিযান শুরু করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেই আগ্রাসন ঠেকাতে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ২৭ দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। যুদ্ধে বেসামরিক মানুষরাও অংশ নিয়েছেন। রুম হামলায় ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটি ছেড়ে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
জেএইচটি