ইউক্রেনে এক মাস ধরে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। এই যুদ্ধে বহু হতাহত, বাস্তুচ্যুত ও শরণার্থী হয়েছে।
তবও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সব ধরনের আগ্রাসন ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি। তাই পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তিনি অস্ত্র সহায়তা চাইছেন।
এমন পরিস্থিতিতে রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের অনেক শহর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে জোরপূর্বক রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্মুখ যুদ্ধে বেগ পেয়ে পুতিন ‘নতুন কৌশলে এগোচ্ছেন’ বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষকে কেন নিজ দেশে নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশের অনেক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে রুশ বাহিনী। কিয়েভেও বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি মস্কো। তাই কৌশল হিসেবে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ‘লক্ষ্য অর্জনে’ ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া চাপ সৃষ্টি করতে চায়।
তবে দেশের মানুষকে ও সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলেছেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি ‘এক মিনিটের জন্যও’ যুদ্ধ থামাতে চান না।
ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮৪ হাজার শিশুসহ ৪ লাখ ২ হাজার মানুষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিয়েভকে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ দিতে তাদের ‘জিম্মি’ হিসেবে ব্যবহার করতে চায় মস্কো।
রাশিয়ায় স্থানান্তর হওয়া ওই বেসামরিক নাগরিকদের একই সংখ্যার কথা বলেছে ক্রেমলিন। তবে তারা বলছে, ওই মানুষরা নিজের ইচ্ছায় রাশিয়ায় গেছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের মানুষদের ভাষা প্রধানত রুশ। সেখানে অনেক মানুষ মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সমর্থন করে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এক মাস ধরে এই যুদ্ধ চলছে। রুশ সেনাদের হামলায় ইউক্রেনে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত এক কোটি মানুষ। এর মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ৩৬ লাখ। দেশটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
জেএইচটি