ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

মাজলুমের আলটিমেটাম

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
মাজলুমের আলটিমেটাম

ঢাকা: নাহমাদুহু ওয়া নুসলি-আ’লা রাসুলিহিল কারিম

জাতীর পুরোভাগের সম্মানিত রাজনীতিবিদ মণ্ডলী, আপনাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম।

জাতীয় জীবনে আজকের এই সংকটকালে আপনাদের খেদমতে কিছু কথা বলতে চেয়ে শুরু করছি।

মহান আল্লাহ পাকের এক নগন্য বান্দা এবং রাসুলের উম্মত হিসেবে যে কথাগুলো আপনাদের সমীপে আরজ করতে না পারলে মহান বিচারকের বিচারালয়ে কৈফিয়তের দায়বদ্ধতার ভীতি থেকে আমার এই লেখা শুরু।

দেশ আর জাতির সত্যিকার কল্যাণার্থে আপনারা আন্তরিকভাবে যা কিছুই এ যাবৎ কাল করেছেন বা করতে চাচ্ছেন আমরা চাইব  আল্লাহ পাক আপনাদের সেই পথের অপূর্ণতাকে পূর্ণ করে দিন। আর এর উত্তম প্রতিদান দুনিয়া ও আখিরাতে দিন; বিশেষ করে বংশ পরম্পরায় যাঁরা জনগণের সেবার সাথে জড়িত, তাঁদের জন্য আমাদের এই বিশেষ শুভকামনা। কারণ জনসেবার এই পথটাই এমন যে, যেখানে দেবার হিসাব করতে চাইলে কিছুটা করা যায়; তা-ও অনেক কষ্টে। কিন্তু ‘কি পেলাম’ এই নিকাশটুকু কোনো দিনই মেলানো যায় না।

এই চরম সত্য সূত্রটুকু আমরা খোলাফায়ে রাশেদিনের ইতিহাস থেকেই পেয়েছি, যাঁদের পাঁচজনের চারজনকেই শাহাদতের পেয়ালা পান করে বিদায় নিতে হয়েছিল।

একই ভাবে ৭১’ পরবর্তী সময়ে জাতীয় জীবনে যাঁরাই আমাদের কিছু দিয়েছিলেন বা দিতে চেয়েছিলেন তাঁদেরকেও আমরা রক্তাক্ত পথেই বিদায় দিয়েছি।

পারব কি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ক্ষতিপূরণ তাঁর পরবর্তী বংশধরদের পুষিয়ে দিতে? গোটা দেশটাই যদি মালা করে গলায় ঝুলিয়ে দিই তবুও কি পারব ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের আগের সেই হাসিটুকু কোনোদিন ফিরিয়ে দিতে? অথবা পারব কি জিয়াউর রহমানের পরিবারকেই ক্ষতিপূরণ দিতে? বাংলাদেশের রাজনীতির এই প্রধান দুটি ধারা যাঁদের কাছ থেকে, আল্লাহ পাক ত্যাগের সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিয়েছেন। আমার জানা নেই এই দু’জন মানুষ জাতিকে যা দিয়েছেন জীবদ্দশায় তার এতটুকুও উসুল করে গেছেন কিনা ? আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করতে চাই তাঁদের উত্তরসূরীরাও আজকে জনগণকে দেবার রাজনীতিই করে যাচ্ছেন, নেবার নয়।

কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে উল্টোটা ভাবতে বাধ্য করছে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট। ভূলটা কোথায়? দোষটা কার? নির্বাচনের প্রাক্কালে বার বার কেন এমন হচ্ছে আর কেমনই বা হতে যাচ্ছে?  দিন গড়ানোর পাশাপাশি পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে, নিরীহ, নিরপেক্ষ মানুষ মরছে। মাজলুমের ফরিয়াদ আকাশে উঠছে।

মহান আল্লাহ পাক চিরস্থায়ী ও চিরঞ্জীব। কিয়ামতের মাঠেই তাঁর মুখোমুখি হবো শুধু এমনটা নয়, বরং ইহলোকেও সার্বক্ষণিক আমরা তাঁর মুখোমুখিই আছি।

নবীর উম্মতের আমলনামাকে প্রতি সপ্তাহেই তাঁর সামনে উপস্থাপন করা হয়। বলাবাহুল্য, ঐ আমলনামাতে বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের নামও নির্ভূল ভাবে লেখা আছে। শাহবাগের চলন্ত বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীর নাম-ধাম, ছবি, সহযোগিতাকারী, পরিকল্পনাকারী, অর্থের যোগান দাতা সবারই নিখুঁত তালিকা সংগৃহীত আছে।
আমরা নাহীদ, রবিন, আসিফ সহ নিপীড়িত মাজলুম জনতা আপনাদের কাছে বিচার দিয়ে আপনাদের বিপাকে ফেলব না। কারণ এ ব্যাপারে আপনারা অপরাধীকে শনাক্ত করতে অপারগ। আপনাদের পরস্পরবিরোধী দোষারোপই এই অপারগতার প্রমাণ।

নাটকীয়ভাবে হঠাৎ হয়তো শুনেও ফেলতে পারি যে, সমঝোতা হয়ে গেছে, আর হরতাল বা অবরোধ নয়। আমরা এমন কথাতেও আর তুষ্ট হতে পারব না। কারণ  নিরীহ যে মানুষগুলোর প্রাণ গেছে তার ক্ষতিপূরণ দেবে কে? রাতের আঁধারে মন্দিরে অগ্নি সংযোগের অপবাদ থেকে কে দেবে জাতিকে মুক্তি? আমরা আফগানিস্তান নই, ফিলিস্তিনও হতে চাই না। আমরা বিশ্ব মানচিত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূর্তিমান আদর্শ।

সুধী মণ্ডলী!
শুধু আবেগের কথা নয়, বরং আজকের বাস্তবতাই এই কথাগুলো লিখতে বাধ্য করছে। যে মহান বিচারক আখিরাতের আদালতে বিচার করবেন, তিনি ইহলোকে মামলা নেবেন না কেন? যিনি ফেরাউন, নমরুদের আর আ’দ, সামুদ জাতির বিচার করতে আখিরাতের অপেক্ষা করেন নি, দাজ্জাল, ইয়াজুজ-মাজুজ-এর বিচার করতে গিয়ে আখিরাতের অপেক্ষা করবেন না, সেই তাঁর দরবারে বিচার পেতে আমাদের আখিরাতের অপেক্ষা করতে হবে কেন ?
আদালতের যে দরজা অতীতে খোলা হয়েছিল আর খোলা হবে ভবিষ্যতেও, সে দরজা আজ কেন বন্ধ থাকবে? মালিকের দরজা ২৪ ঘন্টাই খোলা কিন্তু আমরাই পারি না তাঁর দরবারের সম্মান দিতে, বিচার অর্ধেকটা নিজে করে বাকি অর্ধেকটা তাঁর উপরে ছাড়ি।

দুর্ভাগ্য আমাদের!
আমরা আল্লাহ পাকের ক্রোধের মুখোমুখি হয়ে গেছি, তাও বুঝতে অক্ষম। সন্তানহারা, স্বামীহারা স্বজনের দিলকে ভাঙ্গা কাবাঘরকে ৭০ বার ভাঙ্গার চেয়েও বড় অপরাধ; এটাই যদি মহানবী (সা:) এর বাণীর সারাংশ হয়ে থাকে, "একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা জগতের সকল মানুষকে হত্যার নামান্তর" এটাই যদি মহান আল্লাহ পাকের দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে থাকে তা হলে আর কী বাকি থাকে?

একটা সময় ছিল যখন মানুষ রাতের আঁধারে পাপ করলেও সকাল বেলা ঘরের দরজায় লেখা পাওয়া যেত অপরাধী আর অপরাধের নাম। কোরবানীর পশু আর যাকাতের অর্থ খোলা মাঠে বা পাহাড়ের চূড়ায় রেখে আসতে হত, আকাশ থেকে আগুন এসে পুড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ করত কার কোরবানী কবুল হয়েছে। মহানবী (সা:) এর দোয়া আর সম্মানে এই উম্মতের সৌজন্যে ঐ পদ্ধতিকে সাধারণভাবে রহিত করা হলেও অপরিহার্য প্রয়োজনে তা কিয়ামত পর্যন্তই খোলা। খোদ মহানবী (সা:) নিজেই নাজরানের বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে মোবাহালার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শিশু হাসান-হোসাইনসহ সপরিবারে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ তাকে মোকাবেলায় মুখোমুখি হতে সাহস করেনি।

বিরোধী পক্ষ যখন বলছেন- সরকার ভাড়াটিয়া এজেন্ট দিয়ে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ছে, তখন এই ভাড়াটিয়াকে ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব বিরোধী পক্ষ এড়াতে পারবেন না। অপরদিকে সরকার পক্ষ যখন বিরোধীদের আসামী হিসেবে গ্রেফতার করছেন তখন কোন নিরপরাধ এই মামলায় হয়রানি বা জুলুমের শিকার হলে তার দায়ভার থেকে সরকার পক্ষও মুক্ত হতে পারবেন না।

আমরা যারা বলির পাঁঠা, যারা উলু-খাগড়া তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। যেসব রাজনীতিকের সৎসাহস আছে, তাদের আমাদের সাথে একাত্ম হতে হবে, রাজপথে নয়, মসজিদে মসজিদে দোয়া হবে, প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা-বোন আর শিশুরাও হাত ওঠাবে। মাস, বছর, যুগ নয়, কতদিনের মধ্যে এই মামলার রায় চাই তার আল্টিমেটামটুকু আপনাদের মুখ থেকেই আমরা শুনতে চাই। কোনো সংলাপ, সমঝোতা, গালভরা বক্তব্য--- কিছুই আমরা আর শুনতে চাই না।  

সচেতন মুসলিম কিংবা অমুসলিম সুধীজন,
সবার সমীপে আমার আকুল আবেদন, যাঁরই কাছে আমার এই লেখাটা পৌঁছবে তিনি যেন একটিবারের জন্য হলেও আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

আর একটি দিনও এভাবে কাটতে দেয়া যায় না, একটি প্রাণও আর নির্বিচারে ঝরে যেতে দেয়া যায় না। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বলে কথা নেই, বরং কোনোকালেই, কোনো দেশেই মুসলিমের সাথে আল্লাহ পাকের স্বজনপ্রীতি ছিল না, মানবাধিকারের প্রশ্ন যেখানে গৌণ হয়ে পড়েছে। আব্বাসীয় খিলাফতের শেষ মাথায় অমুসলিম বিদেশি বনিকদল বাগদাদের মুসলিমদের দ্বারা লুন্ঠিত হয়। শেষ খলিফা মু’তাসিম বিল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও ব্যর্থ হয় তারা। অনন্যোপায় হয়ে মধ্যরাতে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আকাশের দিকে হাত উঠিয়ে দোয়া করেছিল:

 “হে মুসলমানদের খোদা! যাঁরা তোমার আনুগত্যের দাবিদার তাঁদের দ্বারা লুন্ঠিত হয়ে আমরা আজ পথের ভিখেরী, তোমার দরবারেই আমরা বিচার প্রার্থী। ’’
পরপর ৩ দিন এই দোয়ার পর আল্লাহ পাক মধ্যএশিয়া থেকে তাতারদের পাঠিয়েছিলেন। বাগদাদের ঐ ঐতিহাসিক ধ্বংসযজ্ঞ যেখানে ৪ সপ্তাহে ৬ লক্ষ মুসলিমকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল। ফোরাতের পানিতে রক্ত মিশে ৬ মাস পর্যন্ত রং কালো ছিল।

ধর্মের পুরস্কার অথবা তিরস্কার ওটা আখিরাতে হবে কিন্তু আল্লাহ পাক দুনিয়াতে মজলুমের পক্ষে। ৯০% মুসলমানের এই দেশে যাঁদের কাছে সংখ্যালঘুদের জানমাল আমানত সেই দেশের জম্মসূত্রে নাগরিক অধিকারের সনদ হাতে নিয়ে কোনো অমুসলিমকে আর আদালতে যেতে হোক, এটা অমরা চাই না।

সম্মানিত সুধিজন,
মানুষমাত্রই এই পৃথিবীতে আল্লাহ পাকের খলিফা (প্রতিনিধি)। কেউ সচেতন কেউ বা অবচেতনভাবেই এই জগতে খিলাফতের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আর যাদের দুর্ভাগ্য তারা নোট ভোট বিহীন আল্লাহ প্রদত্ত এই সম্মানজনক পদবিটুকুর অপলাপ করে কোরানে কারিমের ভাষায় চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও অধম হয়ে বিদায় নিচ্ছে। এই দুর্ভাগাদের অতীত তালিকা আমাদের জানা আছে। ভবিষ্যতের শীর্ষ তালিকাধারীদের খবর কোরান হাদিসে উল্লেখ আছে। সমকালীন বিশ্বে সাময়িক কোনো মোহ বা শয়তানের প্ররোচনায় যদি কারও ক্রস কানেকশন হয়েই থাকে, তবে তার জন্য নিজের সংশোধন ও আত্মসমালোচনা করে শুধু খিলাফতই নয়, বরং নবীদের ঠিক পিছনের কাতারে স্থান নেওয়ার সুযোগ বাকি আছে; যতদিন না শেষ নিঃশ্বাসটুকুও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরাও তাঁদের জন্য এমন শুভ সমাপ্তিই কামনা করি। “সব ভাল তার শেষ ভাল যার”-কথাটা শুধু প্রবাদই নয়, বরং ধর্মীয় সত্য।

এদেশের সম্মানিত উলামায়ে কেরামগণ,
জাতির আজকের এই ঘোর সংকটকালে সবচে’ বড় ভূমিকা আপনাদের।   আপনাদেরই চরণধূলিধন্য একজন তালেবে এলেম হিসেবে দুটো কথা আপনাদের অনুমতি সাপেক্ষে বলতে চাচ্ছি।

বর্তমান অশান্ত বিশ্বে গোটা উম্মত আজ ঘরছাড়া আর নীড়হারা পাখির মত। যেখানেই একটু ছায়া পাচ্ছে সেখানেই মাথা গোঁজার চেষ্টা করছে।

ইসলাম সর্বজনীন ও সর্বযুগীয় ধর্ম তাই এর গণ্ডিও সবচেয়ে বড়। চলুন আমরা বিতর্কের উর্ধের তাকওয়ার পথ ধরে উম্মতকে বাঁচাই। অশান্ত রাজপথ যেন অন্তত আমাদের পদভারে আর একচুলও ভারী হওয়ার সুযোগ না পায়। নবীদের চেয়ে বেশি ক্ষমা আর কেউ করতে পারেনি অথচ তাঁরাই ছিলেন সবচেয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার। উম্মতকে ক্ষমা করে দেন! আপনারা নায়েবে রাসুল।
 
একই সাথে মনে রাখবেন অশুদ্ধ ক্বেরাত পড়া ইমামের পিছে তার মত মোক্তাদিদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে কিন্তু আপনি পিছে গিয়ে মোক্তাদি সেজে নিয়ত করার সাথে সাথে পুরো জামাতের সবার নামাজই নষ্ট হয়ে যাবে। আপনাকে ইমামতিই করতে হবে নইলে একা নামাজ পড়াও ভাল।

আমরা দোয়ার অস্ত্র প্রয়োগ করব উম্মতের শত্রু, মানবতার দুশমনদের লক্ষ্য করে। পেছন থেকে নয় সামনে থেকে। হুট করে নয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে।

চলুন সংশোধনের জন্য কিছুদিন সময় দিই। তওবা করে হাক্কুল ইবাদের ক্ষতিপুরনের সুযোগ দিই এরপরও অবাধ্যতা চলতে থাকলে আমাদের হাতে কী নেই? প্রত্যেক মসজিদে আপনাদের নেতৃত্বে ঘোষণা দিয়ে কুনুতে নাজেলা পড়া হবে। প্রত্যেক মাদ্রাসায় খতমে জালালি চলতে থাকবে, প্রত্যেক ঘরে ঘরে কোটি কোটি কন্ঠে চলবে “আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ আলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম”। প্রয়োজনবোধে আল্লাহর উপরে ছাড়বো তাদের ভার যারা আল্লাহর ইলমে হেদায়েতের যোগ্যতা চিরতরেই হারিয়েছে এমন নাপাকি থেকে যেন জমিনকে চিরতরে পাক করে ফেলা হয়!  

পরিশিষ্টে, দল-পক্ষ এমন শব্দের সাথে যাদের আজও পরিচয় ঘটেনি, এমনি নিষ্পাপ শিশু ও নিরীহ মানুষের দুর্দশা আর মৃত্যু দেখে দু`ফোটা চোখের পানি ফেলে বা একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলেও যাঁরা অবচেতনভাবেই মহান খিলাফতের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তাঁদের দুয়ারে আমি ডাক হরকরা বা পিয়ন মাত্র। পত্রবাহক রাজার চিঠিকে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়। প্রেরক আর প্রাপক উভয়েই তার চেয়ে অনেক বড়।

এদেশের সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সামান্য একজন মানুষ হিসেবে দেশের চরম সংকটকালে মহান মালিক আর তাঁর প্রতিনিধিদের মাঝে মধ্যস্থতার এই চেষ্টাটুকু যদি মহান মালিকের দরবারে কবুল হয় তবে তা শেষ বিচারের আদালতে কৈফিয়তের উসিলা হতে পারবে!

ইতি
বিনীত মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
বড়াইগ্রাম, নাটোর।
ই মেইল[email protected]                                                                          
সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।