ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

নির্দেশনা মেনে ঘরেই নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২০
নির্দেশনা মেনে ঘরেই নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা

ঢাকা: কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে মসজিদে একত্রে নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকেও বাড়িতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

ধর্মীয় বিধি মতে, সক্ষম পুরুষদের জামাতের সঙ্গে নামাজের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। তবে বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে যথাযথভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে জুমার নামাজের জামাতে ১০ জন ও প্রতি ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে পাঁচজন যেতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এমন পরিস্থিতিতে এখন নিজেরাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরে জামাত করে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। আবার অনেককে বাড়ির ছাদে এবং নীচতলার লবিতে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে নাজিবুল হক অংকুর নামের একজন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যখন বাসায় থাকছি, তখন আমরা পরিবারের সবাই মিলে হোম কোয়ারেন্টিনের মতো একটা অবস্থাতেই আছি। এখানে আমাদের পরিবারের চার বা পাঁচজন সদস্যের বেশি কেউ নেই। এখন মসজিদে যাওয়াটা বন্ধ থাকার ফলে আমরা ঘরেই নিজেরা মিলে জামাত করে নামাজ আদায় করি। শরীয়ত সক্ষম পুরুষদের জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া একা নামাজ আদায়ের তুলনায় জামাতে নামাজ আদায় করলে সওয়াবও বেশি।

অনেক নারীও এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সঙ্গেই ঘরে জামাতে নামাজ আদায় করছেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ঘরে নামাজের জামাতে নারীদের অংশগ্রহণ

এদিকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (০৬ এপ্রিল) মাগরিব থেকেই পাঁচজন নিয়ে নামাজ আদায় শুরু হয়েছে দেশের মসজিদগুলোতে।

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর শেওড়াপাড়া তোরাব আলী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের এই মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনেকেই এসেছেন নামাজ পড়তে। আমরা কাউকেই অ্যালাউ করিনি। সবাইকে বলেছি এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেই নির্দেশনা মেনে আপনারা আপনাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতেই নামাজ আদায় করুন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে একটি মহামারি চলছে এটি থেকে সুরক্ষা পেতে আমাদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে। সবাই সচেতন হলেই আমরা এই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হবো।

গত ৬ এপ্রিল জুমার নামাজের জামাতে ১০ জন ও প্রতি ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে পাঁচজন যেতে পারবেন বলে নির্দেশনা দেয় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সারাদেশে ওয়াজ মাহফিলসহ অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্য ধর্মের অনুসারীদেরও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: অবশেষে সরকারের নির্দেশ: মসজিদে নয়, ইবাদত করতে হবে ঘরে

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।