ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

গৌরবের স্বাধীনতা

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৬
গৌরবের স্বাধীনতা

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন ২৬ মার্চ। এ দিনটিই ছিল বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনালগ্ন।

১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে অসংখ্য বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশ স্বাধীন করার যুদ্ধে।

দেশভাগের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সব ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের শিকার হয়েছে। এই শোষণের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ করেছে তারা। আন্দোলন করেছে একের পর এক। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছাত্র আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাঙালি প্রমাণ করেছে তারা কখনও অন্যায়-অবিচার মাথা পেতে নেয় না।

সবশেষে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাঙালির হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়নি পশ্চিম পাকিস্তান, আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দেয়নি। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক এক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’

এই ভাষণ বাঙালি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন গেঁথে দেয়। প্রতিটি বাঙালিই স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, তারা নিজেদের প্রস্তুত করে যুদ্ধের জন্য। স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও দ্বিধা ছিল তা তাদের।

এর কিছুদিন পর ২৫ মার্চ রাতে বাঙালিকে দমিয়ে দিতে পশ্চিম পাকিস্তান “অপারেশন সার্চলাইট” নামে এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায় ঢাকায়। হত্যা করা হয় অসংখ্য নিরীহ বাঙালিকে। সেদিন মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার আগেই রাত ১২টার পর ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা প্রচারিত হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে।

এরপর বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধে। টানা নয় মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় দেশ।

তাই ২৬শে মার্চ বাংলাদেশিদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার ২৬শে মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছর আনন্দ ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দিনটি উদযাপিত হয়।
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এ স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদেরই কর্তব্য। আমরা সবসময় ভালো রাখবো আমাদের প্রিয় দেশটাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।