ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯০)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯০) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
লোকটা বন্ধ সুড়ঙ্গের কাছে চলে আসার পর আমার সত্যিই মনে হয়েছিল তারা আমাদের খুঁজে পাবে, জ্যাক বলে। 
হুম, ওটা বন্ধ করে খুব ভালো করেছিলাম! পেগি বলে। কাজটা না করলে আমরা নিঃসন্দেহে ধরা পড়ে যেতাম! 

আর মাইক নৌকাটা ডুবিয়ে দিয়ে খুব ভালো একটা কাজ করেছে, নোরা বলে। এখানে একটা নৌকা দেখতে পেলে আমাদের খুঁজে পাওয়ার আগপর্যন্ত ওরা এখানে অনুসন্ধান চালাতো।



খুব অবাক লাগছে এটা বলে ওরা ঠিক কী বুঝিয়েছে যে আমাদের জন্য এমন একটা চমক অপেক্ষা করছে, মাইক বলে। এটা কোনো চমক হতে পারে না, আমার ধারণা?
অবশ্যই না! পেগি বলে।  

ওরা এরই মধ্যে দৃষ্টিসীমানার বাইরে চলে গেছে, নোরা বলে। তোমার কি মনে হয় এখন উঠে দাঁড়ানো নিরাপদ এবং নাচা বা এরকম কিছু একটা করা যাবে, জ্যাক? অনেক্ষণ ধরে গুহায় বন্দি জীবন কাটাবার পর আমি নেচে-গেয়ে চিৎকার করার জন্য আকূল হয়ে আছি!

হুম, এখন আমরা বেশ নিরাপদ, জ্যাক বলে। ওরা আর ফিরে আসছে না। শীতকালটা আমরা সুখে-শান্তিতেই গুহার ভেতরে কাটিয়ে দিতে পারবো।

আমরা কি এখন সৈকতের ওপর আগুন জ্বেলে গরম গরম খাবার খেতে পারি? পেগি বলে। আমার ধারণা কাজটা সবাই একসঙ্গে করবে!

ঠিক, জ্যাক বলে। এবং ওরা কাজ শুরু করে দেয়। নোরা নেচে-গেয়ে জিনিসপত্র এগিয়ে দেয়। ওরা সবাই এখন নিরাপদ, কথাটা ভাবতেই তার খুব ভালো লাগছে। এবং এভাবে তাদের রহস্য দ্বীপটা আবারও তাদের অনেক বেশি নিজস্ব আর আপন হয়ে উঠেছে।  

শিগগিরই ওরা এমনভাবে খেতে শুরু করে যেন জীবনে আগে কখনই খাবার খায়নি। এরপর বিকট একটা হাম্বা ডাক তাদের মনে করিয়ে দেয় ডেইজি এখনও ওই গুহার ভেতরে আছে। তাই, ঝাড়া মোছার কাজটুকু মেয়েদের হাতে ছেড়ে দিয়ে জ্যাক আর মাইক ডেইজি ও মুরগিগুলোকে গুহা থেকে ফিরিয়ে আনতে যায়।  

তুমি খুব ভালো আদুরে একটা গরু, ডেইজি, ওর নরম নাকে আলতো করে হাত ঘঁষে, জ্যাক বলে। আমরা আশা করেছিলাম লোকগুলো আমাদের খোঁজ করবার সময় তুমি হাম্বা ডাকবে না- কিন্তু তুমি ভালোই বুঝেছিলে, আর তাই ওদের হাম্বা ডাক ডাকলে- আর ওদের খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দিলে!

দিনগুলো এখন খুবই ছোট এবং অনেক আগেভাগেই রাত নামতে শুরু করেছে। সূর্য ডোবার পর আকাশ আলোকিত করে তারা জ্বলে উঠতে খুব বেশি সময় লাগে না। বাচ্চারা গুহা থেকে লণ্ঠন নিয়ে ফিরে আসে এবং তাদের বই নিয়ে ওরা উইলো বাড়িতে যায়। আজ নোরার পড়ার পালা, এবং সবাই শুয়ে ওর কথা শুনতে থাকে। লণ্ঠনের মৃদু আভা, ফার্ন আর গুল্মের ঘ্রাণের মধ্যে উইলো বাড়িতে সময় কাটানো খুবই আনন্দের। বড় ধরনের একটা অনুসন্ধানের ইতি ঘটেছে আর ওরা এখন নিরাপদ, সবাই আবারও একত্র হয়ে কথাটা মনে করতে পেরে আনন্দিত বোধ করে।

আমার ঘুম পাচ্ছে, শেষে জ্যাক বলে। চলো সবাই চকলেট খাই, তারপর শেষবারের মতো কথা বলে সোজা বিছানায়। জানই তো, শিগগিরই আমাদের গুহায় গিয়ে থাকবার কথা গুরুতরভাবে ভাবতে হবে। এমন ভালো আবহাওয়া খুব বেশিদিন থাকবে না! 

কাল সব সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, চকলেট চিবাতে চিবাতে, ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থায় মাইক বলে। দিনের উত্তেজনার কারণে পুরোপুরি ক্লান্ত থাকায় ওরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু পরদিন ঘুম ভাঙার পর যখন মনে পড়ে, অনুসন্ধান শেষ হয়েছে আর তাই শীতকাল পর্যন্ত ওরা নিরাপদ তখন সবার খুব ভালোলাগে। গোসলে যাওয়ার পথে সবাই গান গায়, কৌতুক করে এবং একে ওপরকে নিয়ে হাসি তামাশা করে!

চলবে…

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।