ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চুরিতে বাধা দেওয়ায় দোকান কর্মচারীকে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
চুরিতে বাধা দেওয়ায় দোকান কর্মচারীকে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: প্রায় আট বছর আগে সাভারের জোড়পুলের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় শুভ টেলিকম নামের একটি দোকানে চুরি করতে গিয়ে কর্মচারী আইয়ুব শিকদারকে (১৪) হত্যা মামলায় আজিমউদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

রোববার (১১ জুন) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার জন্য এদিন কারাগার থেকে আজিমউদ্দীনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সাভারের জোড়পুলের তেঁতুলঝোড়ায় শুভ টেলিকমে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন আইয়ুব। ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে তিনি। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুভ টেলিকমে লোকজন জিনিস কিনতে গিয়ে দোকান বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও আইয়ুবের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

পরে দেখা যায়, দোকানের শাটার খোলা। উপস্থিত লোকজন দোকানের ভেতরে আইয়ুবের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে আইয়ুবের বোন মোছা. সোনিয়া আক্তার সেখানে যান। ভাইয়ের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। পরে দোকান মালিক বাবুল দেখতে পান, তার দোকান থেকে ৭৪ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। ওই দিনই আইয়ুবের বোন সোনিয়া সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পরে পুলিশ আজিমউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।  

চার্জশিটে উল্লেখ বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে দোকানের পেছনের দরজা খোলা দেখে আসামি আজিমউদ্দিন ভেতরে প্রবেশ করেন। ভুক্তভোগী আইয়ুব ঘুমিয়ে পড়লে আজিমউদ্দিন তার মুখে বালিশ চেপে ধরেন। জেগে উঠার চেষ্টা করলে আজিমউদ্দিন তার গলা চেপে ধরেন। তখন আইয়ুবের হাত পা নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আসামি আজিমউদ্দিন ভুক্তভোগী আইয়ুবের গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তার দোকান থেকে একটি কম্পিউটার, ১৫টি মোবাইল ফোন চুরি করে।

চার্জশিট দাখিলের পর ২০১৬ সালের ১১ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।