ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জে সৌদিয়া পরিবহনের বাস ও একটি ট্রাকের সংঘর্ষে পা হারানো কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা শিক্ষানবিশ আইনজীবী নুরুল আলালের (৩৫) জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আবেদনটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বোর্ড অব ট্রাস্টিকে এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, এস কে ওমর শরীফ ও মো. সেলিম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
আইনজীবী ওমর শরীফ বলেন, গত ২ জুন রাত ৩টায় চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় ফেবো ফিলিং স্টেশনের সামনে সৌদিয়া পরিবহনের বাস ও একটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় বাসে থাকা আহত আলালের একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
ঘটনার পর দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন আলাল। দীর্ঘদিনেও সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় আলালের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তার স্ত্রী।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সৌদিয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর বোর্ড অব ট্রাস্টিকে বিবাদী করা হয়।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নের রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে বিআরটিএর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আবেদনটি এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজির পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ শফির বড় ছেলে নুরুল আলাল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
ইএস/আরবি