ঢাকা: সারা দেশের কতটি কোর্ট রুমে লোহার খাঁচা আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে প্রতিবেদন আকারে এ তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
১০ আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক প্রতিস্থাপন করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এ রিট করেন।
রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শিশির মনির জানান, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এ ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত।
এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এ খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
ইএস/আরবি