ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জে টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী তাশফিয়ান আতিফের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো ‘অ্যানিমেল রেসকিউ’ প্রতিষ্ঠান যাতে কাজ করতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
একটি সংগঠনের হয়ে পাখি উদ্ধারে কাজ করা আতিফের মা তানজিনা রহমান টুম্পার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
২১ ডিসেম্বর ‘রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটি’র স্বেচ্ছাসেবী তাশফিয়ান আতিফ ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ইনসাফ বাজার এলাকায় বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। আতিফকে দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটির প্রধান আফজাল খান সাংবাদিকদের জানান, তাদের অফিস খিলগাঁওয়ে। তারা বিপদে পড়া পশুপাখি উদ্ধারের কাজ করেন। তারা মোবাইল ফোনে খবর পান যে, হাসনাবাদ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ঘুড়ির সুতায় একটি টিয়া পাখি আটকে আছে। এরপর তাদের ৫-৬ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় পাখিটি উদ্ধারে। ঘটনাস্থলে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে ওঠেন উদ্ধারকারীরা। আতিফ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পাখিটি উদ্ধার করতে যায়। তবে লাঠিটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গে আগুন জলে ওঠে। এতে তিনজন বিদ্যুতায়িত হন। দ্রুত তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম জানান, আতিফের মা থানায় মামলা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মামলা না নেওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি আবেদন করেন। যেহেতু অধিদপ্তর কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি, তাই তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। আদালত রুল জারি করেছেন এবং একটি আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ