ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে কৃষক হত্যায় বাবা ও দুই ছেলের আজীবন কারাদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
সিলেটে কৃষক হত্যায় বাবা ও দুই ছেলের আজীবন কারাদণ্ড

সিলেট: সিলেটের বিশ্বনাথে কৃষক আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রব হত্যা মামলায় বাবা ও দুই ছেলের আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন চাঞ্চল্যকর এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কবির হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ২ নম্বর খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তিলকপুর (গুমরগুল) গ্রামের মৃত আবরু মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া (৬০), তার ছেলে মো. এমরান মিয়া (২২) ও কামরান মিয়া (১৮)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আশিক মিয়া আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. এমরান মিয়া ও তার ভাই কামরান মিয়া পলাতক ছিলেন।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, আসামিদের সঙ্গে একই এলাকার মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রব (৪০) ও তার সহোদর মো. আব্দুল কুদ্দুসের জায়গা-জমি ও মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আব্দুর রবদের রেকর্ডভুক্ত দখলি জমিতে তিনি ও তার ভাই আব্দুল কুদ্দুস সেচ মেশিন দিয়ে পানি  করার জন্য পাম্প মেশিন স্থাপন করছিলেন। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে আসামি আশিক মিয়া, তার ছেলে এমরান ও কামরানসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।  


এসময় আসামিরা আব্দুর রব ও আব্দুল কুদ্দুসকে গুরুতর আহত করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।  

ঘটনার তিনদিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি আব্দুর রব চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।  

পরে এ ঘটনায় মো. আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-১৭ (২১-০২-২০১৮)। দায়রা-২৮৬২০২১।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিশ্বনাথ থানার এসআই মো. সফিকুল ইসলাম তিনজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং- ৫৪) দাখিল করেন এবং ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর থেকে আদালত এ মামলার চার্জ গঠন (অভিযোগ গঠন) করে বিচার কার্য শুরু করেন।

দীর্ঘ শুনানি ও ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
এনইউ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।