ঢাকা: মাদক মামলায় নিজের দণ্ড অন্যকে নিয়ে খাটানোর অভিযোগ থাকা উত্তরার যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার শাহবাগ থানায় মামলা করবেন, মামলাটির তদন্ত করবে পিবিআই।
সোমবার (২০ মে) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামি ও আত্মসমর্পণকারীর পরিচয় জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জন্মসনদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে নিম্ন আদালতের বিচারক, পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
জালিয়াতির অভিযোগ নজরে এনে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। তবে পালিয়ে যান চক্রের মূলহোতা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান।
এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।
নাজমুল ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা। তবে এ পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে যিনি জেল খেটেছেন তার প্রকৃত নাম মিরাজুল ইসলাম। এর মধ্যে সাত বছরের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আপিল শুনানির শেষ পর্যায়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ চেয়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তখন আদালতে আবেদন জানালে ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের এক আইনজীবী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন। তখন প্রধান বিচারপতি আপিল নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চে পাঠান।
গত ২৪ এপ্রিল মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের ৭ বছরের জেল খাটার পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে মিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির জেল খাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারক, আইনজীবী ও কারা কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ব্যাখ্যা দেওয়ার পর ১২ মে নাজমুলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরদিন নাজমুল আত্মসমর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ