ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাবেক এমপি আয়েনসহ ৯ জনের নামে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
সাবেক এমপি আয়েনসহ ৯ জনের নামে মামলা

রাজশাহী: হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আয়েন উদ্দিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের আরও দুই থেকে আড়াইশ নেতাকর্মীকে।

রাজশাহীর কর্ণহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান শনিবার (২৪ আগস্ট) এ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্ণহার থানার তালুকধর্মপুর গ্রামের সাবের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলাটি এরই মধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—রাজশাহীর পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদ আলী (৪৮), দর্শনপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুল হাসান ওরফে রাজ, তৎকালীন এমপি আয়েন উদ্দিনের পিএস ইকবাল হোসেন (৩২), দর্শনপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী (৫১), সারওয়ার জাহান মিল্টন (৩৮), দর্শনপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইয়ামিন আলী (৭২), দর্শনপাড়া গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে আনছার আলী (৭৫)।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে ককটেল, ধারাল হাসুয়া, পাসলি, চা-পাতি, ছুরি এবং লাঠিসোঁটাসহ দেশী অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে হামলা চালায়।

এ সময় ৪/৫টি ককটলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বিএনপি দলীয় এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়, দর্শনপাড়া ব্রেইলি ব্রিজের পাশে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং ৫/৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা সেখানে থাকা ১০ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে। এছাড়াও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।  

একইভাবে পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ধানের শীষের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এছাড়া ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ত্রাস সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দর্শনপাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দর্শনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রতিটি নির্বাচনী বুথ থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার প্রতীকে সীল মারে। উপস্থিত জনগণ বাধা দিলে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষজনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপর ১নং দর্শনপাড়া ইউয়িনের প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা করে। এভাবে স্থানীয় বিএনপি প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেয়।

বাংলাদেশ সময় : ২২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।