মানিকগঞ্জ: মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মিছিল বের হয়, সে মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুলিতে চারজন নিহত হয়। ওই ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক এমপি মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ৫২ জন।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, তৎকালীন দায়িত্ব থাকা মানিকগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ ও মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৮ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এদিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রিভলবার, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। এক পর্যায় সাধারণ মুসুল্লিদের লক্ষ্য করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও অর্ধশতাধিক সাধারণ মুসল্লি।
মামলার বাদী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন। তাই সুষ্ঠু বিচারের আশায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একযুগ পরে এসে গতকাল (৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
জেএইচ