ঢাকা: বিভিন্ন সময়ে গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গু হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাতজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তারা এই অভিযোগ দেন।
অভিযোগকারী সাতজন হলেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের কর্মী মো. জনি ইসলাম, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার শিবিরকর্মী মো. আব্দুল করিম, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শিবিরকর্মী মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকার ভাটারা থানা শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মো. নুরুল আমিন, ঝিনাইদহের রতনহাট উপজেলার একটি ইউনিয়নের তৎকালীন শিবির সভাপতি মো. কামারুজ্জামান, শিবির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বগুড়ার শেরপুরের মো. আলমগীর হোসেন ও নোয়াখালীর মো. দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি উল্লেখ করে ভুক্তভোগীদের পক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, গুম, নির্যাতন, পঙ্গুত্ব বরণের মতো অমানবিক ও বর্বোচিত ঘটনায় জড়িত র্যাব-পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজ যে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তার মধ্যে চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গু হয়েছেন। একজন সাড়ে তিন বছর এবং আরেকজন সাড়ে তিন মাস গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন। কামারুজ্জামান নামে একজন ২০১৭ সালে নিখোঁজ হয়েছেন, এখন পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাতটি অভিযোগ আলাদা আলাদাভাবে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান আরও জানান, আজকের সাতটি অভিযোগসহ ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ১৭টি অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি অভিযোগের ভুক্তভোগী ছাত্রশিবিরের কর্মী এবং একজন ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ