বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার, খোরপোষ ও সম্পত্তির অধিকার বিষয়গুলো পারিবারিক আইনের অধীন। যদিও এক্ষেত্রে তেমন কোনো বিধিবদ্ধ আইন নেই।
তাই নারী বা পুরুষ সম্পত্তির কতখানি অংশীদার তা তার ধর্ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সেই সাথে উত্তরাধিকারীর কতজন অংশীদার আছে তাও বিবেচনার বিষয়। তাই একজন ব্যক্তির অধিকার কতটুকু তা নির্ভর করে তার অংশীদার কতজন তার ওপর। আর সাধারণ আইনে সম্পত্তির অধিকার বলতে বোঝায় সম্পত্তি অর্জন ও ভোগ করার অধিকার। যার সম্পত্তিতে অধিকার আছে তার সে সম্পত্তি বিক্রয় ও হস্তান্তর করারও অধিকার আছে।
হিন্দু আইনানুযায়ী হিন্দু নারীরা স্বামীর সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পান। জীবন স্বত্ব বলতে বোঝায়, স্বামীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী কর্তৃক সম্পত্তি আমৃত্যু ভোগ করার অধিকার। স্ত্রী স্বামীর ওই সম্পত্তি কোনোভাবেই হস্তান্তর করতে পারবেনা। হিন্দু নারীরা পিতার সম্পত্তির অংশ পাননা।
হিন্দু ধর্মে মৃতের সম্পত্তিতে স্ত্রী ও কন্যার স্বত্ব বা অধিকার নেই। হিন্দু ধর্মে সম্পত্তি পুরুষগামী বা পুরুষ উত্তরাধীকারীকে অনুসরণ করে। মৃতের যদি কোনো ছেলে না থাকে তবুও মেয়েরা সম্পত্তির উত্তরাধীকার হতে পারেনা। আইনে আছে, যদি অবিবাহিত মেয়ে থাকে তবে তিনি মায়ের তত্ত্বাবধানে থাকবেন ও বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে প্রতিপালিত হবেন।
স্ত্রীধন বলতে স্ত্রীর এক বিশেষ অধিকারকে বোঝায়। স্ত্রীধন বলতে বোঝায় নারীর নিজস্ব অজিত সম্পত্তি। এ সম্পত্তির পূর্ণ মালিক স্ত্রী নিজেই, তাই এ সম্পত্তি ভোগ করার স্বাধীনতাও তার আছে। এ সম্পত্তি নারী তার ইচ্ছানুযায়ী ব্যয়, দান, বিক্রয়, উইল বা হস্তান্তর করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দায়াভাগা ও মিতাক্ষরা আইনে কিছু পার্থক্য আছে।
ইসলাম ধর্মে নারীদেরকে পিতার এবং স্বামীর সম্পত্তির ভাগ দেয়া হয়েছে। তবে মেয়ে বাবার সম্পত্তিতে ছেলের অর্ধেক অংশ পান। আবার স্ত্রীর যদি যদি সন্তান থাকে তবে তিনি স্বামীর সম্পত্তির অংশও পান।
খ্রীষ্টান আইনে স্বামীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির অংশ পান। তবে সম্পত্তি পেতে হলে তার সন্তান থাকতে হবে। সন্তান না থাকলে স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তির কোনো অংশ পাননা। পিতার সম্পত্তিতে ছেলে এবং মেয়ে সমান অংশীদার। খ্রিষ্টান ধর্মে বাবার মৃত্যুর পর যদি কোনো পুত্র বেঁচে থাকে তবে বোন কিছুই পায়না। আবার মৃতের যদি দুই ছেলে থাকে তবে বড় ছেলে পায় ছোট ছেলের দ্বিগুণ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, র্মাচ ০৯, ২০১৬